বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
কিশোরগঞ্জের ইটনা রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে অপরপক্ষের একজনকে।
সোমবার (০৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রোহান মিয়া একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও কলেজ শাখা ছাত্রদল কমিটির আহবায়ক রাজিব ইসলাম রাজুর চাচাতো ভাই।
জানা গেছে, গত ২ মে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. মারুফ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন স্বাক্ষরিত ইটনা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ নবগঠিত কমিটির সদস্যরা আনন্দ মিছিল করার প্রস্তুতির সময় অপরপক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী রোহান মিয়ার পায়ের রগ কেটে দেয়। আহত হন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক রাজিব ইসলাম রাজ।
ইটনা কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাজিব ইসলাম রাজু বলেন, ৫ মে নবগঠিত কলেজ কমিটির পক্ষ থেকে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আজমানুর রহমান সুজন আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কর্মী একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রোহান মিয়ার ডান পায়ের গোড়ালির রগ কেটে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, হামলায় আমি নিজে আহত হয়েছি। আহত রোহান মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং মামলা করা হবে। ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আজমানুর রহমান সুজন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক রাজুকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ ভাইকে বলে আমিই আহবায়ক বানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পায়ের রগ কর্তনের ঘটনা আজকের কলেজের ভেতরের সংঘর্ষের বিষয়ে নয়, এটি কলেজের বাহিরের স্কুলের সামনে অন্য একটি ঘটনায় রোহানের পা কেটে গেছে। ৫ সদস্যের কলেজ কমিটির দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর কলেজে গিয়ে দেখি ঝামেলা শেষ। যারা ছিল তাদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়াও ঘটনা সম্পর্কে ওসিকে জানিয়েছি। ইটনা থানার ওসি জাফর ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।